ভুমিকাঃ
প্রাচীনকাল থেকেই আমরা শুনে আসছি বা দেখে আসছি কবুতর লালন-পালন করা। অনেকে সখের বসে পালে আবার অনেকেই তাদের রুজি-রোজগারের মাধ্যম হিসেবেও এর পালন করে থাকে। মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের শখ থাকে। সেই শখ তাকে কখনো কখনো সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। অল্প পূঁজি দিয়ে কবুতরের ব্যবসা শুরু করে ওই খামারী প্রতিমাসে আয় করতে পারেন প্রায় লাখ টাকা। একই সঙ্গে স্থানীয় অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়ে উঠতে পারে ওই খামারটি।
যেভাবে খামার গড়ে তোলা যায়ঃ
বাড়ির পাশের খালি জমি অথবা নতুন জমি ক্রয় করে এই খামারটি গড়ে তোলা যায়। অথবা বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভাবে জমি ক্রয় করেও এই ব্যবসার কাজ আরম্ভ করা যায়। এক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে ঝুঁকি যত বেশি থাকে তার থেকে লাভ করার সুযোগ ও বেশি থাকে। আবার ছোট আকারে খামার গড়তে চাইলে তাও করা যায়। ঝুঁকি কম থাকে লাভও তুলনামূলক কম। তবে সময়ের সাথে আস্তে আস্তে এর পরিসর বাড়িয়ে অধিক লাভ করা যায়। দেশী-বিদেশী কিছু কবুতর কিনে বাড়ির আঙ্গিনায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা যায় কবুতরের খামার। খামারে বোখরা, কিং, সিলভার, ফিলিয়েজার, ইন্ডিয়ান লোটন, হোয়াইট চায়না, গিরিবাজ, ময়ূরী ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের দেশী-বিদেশী কবুতর রাখা যেতে পারে খামারে। কবুতর পালন করতে হলে খোলামেলা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রয়োজন। এতে বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব। এছারাও যদি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও সরকারি-বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া গেলে খামারীরা আর ভালোভাবে তাদের খামার গড়ে তুলতে সক্ষম হতে পারে।
আয়ঃ
প্রতি মাসে খামারের বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিদিন কবুতরকে পরিমিত ও সুষম খাদ্য দিতে হবে। গম, খেসারি, শষ্য জাতীয় খাবার দিতে হয়। ঔষধ ও বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকা। সঠিক ভাবে যত্ন নিলে এবং সঠিক উপায়ে এর পালনে বছর শেষে প্রচুর আয় করা যায়।
শুভ কামনা রইল।
English version
Pigeon breeding
Introduction:
We have heard or seen pigeon rearing since ancient times. Many people keep it as a hobby and many people also keep it as a means of livelihood. People have different hobbies in life. That hobby can sometimes take him to the top of success. By starting the pigeon business with a small investment, the farmer can earn about lakhs of taka per month. At the same time, the farm can become employment for many local unemployed youth.
How to build a farm:
This farm can be developed by buying vacant land next to the house or buying new land. Or this business can be started by purchasing land commercially on a large scale. In this case, the amount of risk increases. But the higher the risk, the higher the chance of profit. If you want to build a farm on a small scale, that can be done. The risk is low and the profit is relatively low. But with time gradually increase its range and gain more. Domestic and foreign pigeons can be purchased and a commercial pigeon farm can be built in the backyard. Domestic and foreign pigeons of different breeds such as Bokhara, King, Silver, Fillizer, Indian Loton, White China, Giribaz, Mayuri etc. can be kept in the farm. An open and healthy environment is necessary to keep pigeons. It can prevent various problems. Also, if the Upozila Animal Resources Department and public-private financial support is available, the farmers may be able to develop their farms better.
Income:
Every month about 80 to 100 pairs of chicks are obtained from different species of pigeons in the farm. The market price of which is around 40 to 50 thousand taka. Besides, every day the pigeon should be given moderate and balanced food. Foods like wheat, khesari, cereal foods should be given. Excluding medicine and various expenses, the income is around 60 to 70 thousand taka per month. If properly taken care of and maintained in the right way, it can generate a lot of income at the end of the year.
Best wishes.