ড্রাগন ফল চাষ / Dragon fruit Cultivation

ভূমিকাঃ

দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে জন্মানো ফলটির নাম ড্রাগন ফল। দেখতে আকর্ষণীয়ও, সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটি এবং আবহাওয়া এই ফল চাষের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় অনেক ফল চাষি এর চাষাবাদ করার মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন।

চাষ পদ্ধতিঃ

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে ড্রাগন ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। এই গাছে কোন পাতা থাকে না। সাধারণত ড্রাগন ফল ৩ প্রজাতির হয়ে থাকে। কোস্টারিকা ড্রাগন ফল, লাল ড্রাগন ফল এবং হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। আমাদের দেশে বেশিরভাগ লাল রঙের ড্রাগন ফল বিক্রয় হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল চাষের জন্য দরকার উপযুক্ত ভূমি। পানি জমে না এমন উঁচু এবং মাঝারি উঁচু উর্বর ভূমি এ ফল চাষের জন্য উপযুক্ত। পাহাড়ি  ঢালু ধরণের জমিও ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত। এই জমি প্রস্তুত করার জন্য কয়েকটি চাষ দেয়ার পরে মই দিতে হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় হলো ড্রাগন ফল চাষের উপযুক্ত সময়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর/ অক্টোবর এর মধ্যবর্তী সময়ে ফলগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করা যায়।এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি ফসল। একটি গাছ হতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর ফল পাওয়া যায়। সমতল ভূমিতে বর্গাকার বা ষঢ়ভুজাকার পদ্ধতিতে এবং পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপণ করতে হয়। ড্রাগন ফল সাধারণত বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে। কিন্তু ফল উৎপাদনের জন্য কাটিং বা অঙ্গজ পদ্ধতি অনুসরণ করা উত্তম। কাটিং থেকে ফল ধরতে প্রায় এক থেকে দেড় বছরের মতো সময় লাগে। বেলে, দোআঁশ মাটিতে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপন করতে হয়। চারা রোপণের পর সঠিক পরিমাণে পানি এবং সাঁর প্রয়োগ করতে হবে। গাছ এবং মাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত পানি অথবা খরা গাছের জন্য ক্ষতিকর তাই পানি প্রয়োগে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও রোগবালাই দমনের জন্য বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এ ফলের গাছে মে মাস থেকে ফুল আসে শুরু করে এবং জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ফল কেটে সংগ্রহ করা যায়। ফুল ফোঁটার এক মাস পর ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। প্রতিটি গাছ থেকে ৩ থেকে ১০ কেজি ফল সংগ্রহ করা সম্ভব। গাছ যত বেশি পুরনো হয় ফলও তত বেশি পাওয়া যায়। ফল যখন সম্পূর্ণ লাল রঙ ধারণ করে তখন সংগ্রহ করতে হয়।

আয়ঃ

ড্রাগন ফল স্বাদে যেমন ভালো তেমনই অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে বছরে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। বিশেষভাবে কোন যত্ন নিতে হয় না বলে এর যত্নের জন্য খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। তাই ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।

শুভ কামনা রইল।

English version

Dragon fruit Cultivation

Introduction:

The fruit that grows in the jungles of South America is called dragon fruit. The demand for this attractive, tasty and nutritious fruit is increasing day by day. At present, dragon fruit cultivation is being done in Bangladesh as well as in different countries of the world. As the soil and climate of Bangladesh are suitable for the cultivation of this fruit, many fruit growers are benefiting from its cultivation.

Cultivation method:

Different varieties of dragon fruit were first brought to Bangladesh in 2007 from Thailand, Florida and Vietnam. This tree has no leaves. There are usually 3 types of dragon fruit. Costa Rican dragon fruit, red dragon fruit and yellow dragon fruit. Most of the red coloured dragon fruits are sold in our country. Dragon fruit cultivation requires suitable land. High and medium high fertile land with no waterlogging is suitable for cultivation of this fruit. Hilly slope types of land are also suitable for dragon fruit cultivation. After a few cultivation to prepare this land, ladders should be given. Mid-April to mid-October is the best time to grow dragon fruit. The fruits can be harvested from the tree between June and September/October. It is a long term crop. A tree produces fruit for about 15 to 20 years. Dragon fruit cuttings should be planted in square or hexagonal pattern in flat land and contour method in hilly land. Dragon fruit is usually propagated by seed. But for fruit production it is better to follow cutting or limb method. It takes about one to one and a half years to bear fruit from cuttings. Dragon fruit cuttings should be planted in sandy, loamy soil. Proper amount of water and fertilizer should be applied after planting. Cleanliness of trees and soil should be maintained. Excess water or drought is harmful to plants, so be careful with water application. Also, special care should be taken to prevent disease. This fruit tree starts flowering from May and fruits can be cut and collected from June to October. A month after flowering, the fruit is ready to eat. 3 to 10 kg of fruit can be collected from each tree. The older the tree, the more fruit it produces. The fruit should be harvested when fully red in colour.

Income: Dragon fruit is as good in taste as it is packed with many nutrients. By spending 40 to 50 thousand taka it is possible to earn up to crores of taka per year. It doesn’t need to take special care so it doesn’t need to spend a lot of money for its care. So it is possible to profit by cultivating dragon fruit.

Best wishes.