তরমুজ চাষ / Watermelon cultivation

ভূমিকাঃ

তরমুজ একটি অর্থকারী ফসল যা গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান মজুদ রয়েছে। যা রাতকানা, রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা সহ নানা ধরণের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তরমুজে প্রায় ৯৫ ভাগ পানি আর প্রচুর খনিজ লবণ বিদ্যমান যা মানব দেহের লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণ করে। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ প্রায় সব বয়সের লোকেরাই তরমুজ খেতে পছন্দ করে। তাই এর চাষ করা লাভজনক বিবেচিত হতে পারে।

চাষ পদ্ধতিঃ

জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। তবে হাইব্রিড জাতের বীজ গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে লাগানো যায়। টপইল্ড, গ্লোরি, তাইওয়ান, সুগার বেবি ইত্যাদি আর অনেক জাতের তরমুজ পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হল সুগার বেবি। আর হাইব্রিড জাতগুলোর মধ্যে সুগার এম্পায়ার, ক্রিমসন সুইট, ক্রিমসন গ্লোরি ইত্যাদি রয়েছে। তরমুজ চাষের জন্য উন্নতজাত কাঠাপ্রতি প্রায় ১৫ গ্রাম ও হাইব্রিড জাত চাষের জন্য প্রায় ৫ গ্রাম বীজ লাগবে। সাধারণত প্রতি মাদায় ৫ টি বীজ বপন করা হয়। বপনের অন্তত ১০ দিন আগেই মাদা তৈরি করে সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি মাদা থেকে মাদার দূরত্ব অন্তত ২ মিটার হতে হবে। এর প্রস্থ ও গভীরতা ৫০ সেন্টিমিটার। চারা গজানোর পরে ২ টি চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। শীতকালে কম তাপমাত্রার জন্য বীজ বুনে ফল আসা পর্যন্ত খড় চাপা দিয়ে মাচা গরম রাখতে হবে। সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে হবে। আর পোকামাকড় ও রোগবালাই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এবং রোগাক্রান্ত গাছের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তরমুজ পরিকক্ক হলে এর গাছের সাথে সংযুক্ত ডাল শুঁকিয়ে আসে এবং মাটির সাথে তরমুজের যে অংশটি লেগে থাকে তা সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। গায়ে হাথ দিয়ে টোকা দিলে একটা ভারী শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তরমুজ গাছ নোনাপানি সহনশীল হওয়ার ফলে দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের আবাদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলাতে কম বেশি তরমুজ চাষ হয় তবে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে এর চাষ বেশি হয়ে থাকে। বাজারে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্তমানে আগাম তরমুজ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনা হয়। যার দাম খুব বেশি থাকে। তাই আগাম তরমুজ চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। আর এখন তরমুজ চাষের সঠিক সময়।

আয়ঃ

মৌসুমী ফল হিসেবে তরমুজ চাষ একটি লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচিত। তাই এর চাষের মাধ্যমে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব।

শুভ কামনা রইল।

English version.  

Watermelon cultivation

Introduction:

Watermelon is a cash crop that is quite popular as a summer crop. It is rich in iron, vitamins, carbohydrates, calcium, phosphorus and other nutrients. Which helps prevent various diseases including night sweats, blood pressure, kidney problem. Watermelon contains about 95% water and a lot of mineral salts which fill the salt and water deficiency of the human body. Almost people of all ages from kids to old people love to eat watermelon. Hence its cultivation can be considered profitable.

Cultivation method:

January to February is the best time for watermelon cultivation. However, seeds of hybrid varieties can be planted throughout the month of February. Topyield, Glory, Taiwan, Sugar Baby and many other varieties of watermelons are available. But the most popular breed in our country is Sugar Baby. And hybrid varieties include Sugar Empire, Crimson Sweet, Crimson Glory etc. For watermelon cultivation about 15 grams of seeds will be required per improved plant and for hybrid varieties cultivation about 5 grams. Usually 5 seeds are sown per female. Fertilizer should be applied at least 10 days before sowing. The distance between each female should be at least 2 meters. Its width and depth are 50 cm. After sprouting, 2 seedlings should be kept and the rest should be removed. For low temperature in winter, the loft should be kept warm by covering with hay until the seeds are sown. Fertilizers should be applied at the right time. Pesticides should be applied to protect against insects and diseases. And proper measures should be taken for diseased plants. When the watermelon is ripe, the stems attached to the plant will shrivel and the part of the watermelon attached to the soil will turn green to yellow in colour. A heavy sound can be heard when tapped with the hand. Watermelon plants can be grown in southern regions as they are salt water tolerant. Watermelon cultivation is more or less in different districts of the country, but its cultivation is more in the districts of Chittagong, Rajshahi, Sylhet and North Bengal. If you look at the market, you will see that watermelons are brought for sale in advance. Which is very expensive. So farmers can benefit by early watermelon cultivation. And now is the right time for watermelon cultivation.

Income:

Watermelon cultivation as a seasonal fruit is considered as a profitable agricultural product. So it is possible to get a lot of profit through its cultivation.

Best wishes.