ভূমিকাঃ
প্রায় সারা বছরই পেঁপে চাষ করা যায়। কাঁচা অবস্থায় কিংবা পাকা অবস্থায় এই দুই অবস্থাতেই পেঁপে উপকারী বলে পরিচিত। অনেকে বড় পরিসরে এর চাষাবাদ করে থাকেন। আবার অনেকে বাড়ির আঙিনায় ছোট পরিসরে এর চাষ করে থাকেন। বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষে বিনিয়োগ এর পরিমাণ কম হওয়ায় এতে ঝুঁকিও তুলনামূলক কম। এটিকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থকারী ফসল বলা হয়।
চাষ পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশে পেঁপের কয়েক ধরণের জাত পাওয়া যায়। যেমনঃ কাশিমপুরী, রাচি, শাহী পেঁপে, ছোট পেঁপে ইত্যাদি। দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযোগী। পেঁপে চাষের জন্য আইল পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। এর দৈর্ঘ্য ২২ মিটার বা তার বেশি এবং প্রস্থ ৫০ সেন্টিমিটারের মত হতে হবে। উঁচু এবং চওড়া আইল নির্বাচন করতে হবে। মাদা থেকে মাদার দূরত্ব ২.৫ মিটার হলে ভালো এবং এর আয়তন ৩০*৩০*৩০ সেন্টিমিটার হতে হবে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পেঁপের চারা রোপণ করা যাবে তবে এর উপযুক্ত সময় হল এপ্রিল মাস। শীতকালে ১০ দিন অন্তর অন্তর সেচ দেওয়া যেতে পারে। আর গ্রীষ্মকালে ৬ দিন অন্তর অন্তর সেচ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে জাতে গাছের গোঁড়ায় পানি না জমে। পর্যাপ্ত পরিমাণের সার প্রয়োগ করতে হবে। পরাগায়নের জন্য বাগানে ১৫% পুরুষ গাছ রাখতে হবে। আর বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। গাছ হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। সাধারণত কান্ড পচা রোগ, মোজাইক রোগ, পাতা কোঁকড়ানো রোগ, ছত্রাকের আক্রমণ সহ নানা ধরণের রোগের হাথ থেকে পেঁপে গাছকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চারা রোপণের ৩ মাসের মধ্যেই ফুল আসে এবং ফল ধরার ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই সবজি হিসেবে পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। আর ফল পাকার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আয়ঃ
পেঁপে একটি সম্ভাবনাময়ী ফসল। এটি ফল বা সব্জি উভয় রুপেই বেশ পুষ্টিকর। তাই বাজারে এর চাহিদা ব্যপক। সুতরাং, বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে এর চাষিরা হয়ে উঠতে পাড়েন স্বাবলম্বী।
শুভ কামনা রইল।
English version.
Papaya Cultivation
Introduction:
Papaya can be cultivated almost throughout the year. Papaya is known to be beneficial in both the raw and ripe states. Many people cultivate it on a large scale. Many people cultivate it on a small scale in the yard of the house. As the amount of investment in commercial papaya cultivation is low, the risk is relatively low. It is called the potential cash crop of Bangladesh.
Cultivation method:
There are several varieties of papaya available in Bangladesh. Like: Kashimpuri, Rachi, Shahi papaya, small papaya etc. Loam and sandy loam soils are suitable for papaya cultivation. Aisle system is quite popular for papaya cultivation. Its length should be 22 meters or more and width should be 50 cm. High and wide aisles should be selected. Female to female distance is good if 2.5 meters and its size should be 30*30*30 cm. Papaya seedlings can be planted in September and October but the best time is April. Irrigation can be done at intervals of 10 days during winter. And during summer, irrigation can be done at intervals of 6 days. But care should be taken not to accumulate water at the root of the plant. Sufficient amount of fertilizer should be applied. 15% male plants should be kept in the garden for pollination. And the rest should be removed. If the tree is likely to fall, it should be tied to the pole. Adequate measures should be taken to protect the papaya plant from various diseases including stem rot, mosaic, leaf curl, fungal attack. Papaya can be harvested as a vegetable within 3 months after planting and 2 to 3 months after fruiting. And we have to wait for some more time for the fruit to ripen.
Income:
Papaya is a promising crop. It is very nutritious in both fruit and vegetable form. So its demand is huge in the market. Thus, papaya farmers can become self-sufficient by cultivating papaya commercially.
Best wishes.