আপনি কি জানেন, পেয়ারা চাষ করে আপনি সহজেই লাখপতি হতে পারেন?
পেয়ারা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। এটি বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। ভিটামিন ‘সি’ এর একটি প্রধান উৎস হিসেবে পেয়ারা সুপরিচিত। দেশের সর্বত্র কম বেশি পেয়ারা জন্মে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ইত্যাদি এলাকায় এর চাষ করা হয়ে থাকে।
চাষ পদ্ধতিঃ
পেয়ারা উৎপাদনের জন্য হালকা বেলে মাটি ও দোঁআশ মাটি উত্তম। এটি খরা সহিষ্ণু উদ্ভিদ এবং আমাদের দেশের প্রায় সব ধরণের মাটিতে জন্মাতে সক্ষম। তবে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য বেলে ও দোঁআশ মাটিই উত্তম। আমাদের দেশে সাধারণত কাজী পেয়ারা, স্বরুপকাঠি, কাঞ্চননগর, মুকুন্দপুরী, বারি পেয়ারা-২ ইত্যাদি জাতের পেয়ারা চাষ করা হয়ে থাকে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে পেয়ারার চারা রোপণ করা উত্তম। রোপণের সময় চারা প্রতি দূরত্ব থাকবে ৫×৫ মিটার। এবং ৬০×৬০×৬০ সেন্টিমিটার গর্ত তৈরি করতে হবে। এসময় উপরের অংশের মাটি নিচে আর নিচের অংশের মাটির সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পচা গোবর সার, টিএসপি, এমওপি মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। পেয়ারার চারা এর বীজ থেকে গুঁটি কলমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। তৈরিক্রিত চারা রোপণের পরে একটি শক্ত খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে জাতে তা বাতাসে হেলে না পড়ে যায়। অন্যান্য প্রাণীর থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের তৈরি খাঁচা বা বেড়া দিয়ে দিলে ভালো হয়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মে ও সেপ্টেম্বর মাসে সমান তিন কিস্তিতে সার প্রয়োগে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সার গাছের ছড়ানো ডালপালা যতটা বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আছে সেখান পর্যন্ত মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া ভালো। এর পর সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো ফলন পেতে গাছে ফল আসার সময় ১০ দিন অন্তর অন্তর পানি সেচ দিতে হবে। মানসম্মত ফল পেতে ফল কচি থাকা অবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফল সহ ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ফল ছাঁটাই করে ফেলা ভালো। অধিক ফলন পেতে পরিপক্ব ফল সগ্রহের পর গাছের অঙ্গ ছাঁটাই করলে ভালো। এর ফলে নতুন ডালপালা গজিয়ে গাছের ফল ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পেয়ারা গাছে ছত্রাক এর সংক্রমণ বেশি হয়। এর থেকে রক্ষা পেতে ঝড়ে পড়া পাতা, ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তাছাড়া ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করতে হবে। গাছ এবং গাছের আশেপাশের জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে নানা ধরণের রোগ থেকে গাছ আর ফলকে রক্ষা করতে।
আয়ঃ
পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। আমাদের দেশে এর চাহিদা প্রচুর। বর্তমানে বারো মাস পাওয়া যায় এমন জাতের চাষও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাত ভেদে পেয়ারার ফলনও আলাদা। কোনটা বছরে ২ বার ফলন দেয় আবার কোনটা একবার। সুতরাং বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
শুভ কামনা রইল।
English version.
Do you know, you can easily become a millionaire by cultivating guava?
Guava is a very tasty and nutritious fruit. It is very popular in Bangladesh. Guava is well known as a major source of vitamin ‘C’. More and less are born everywhere in the country. However, it is cultivated commercially in Barisal, Pirojpur, Jhalkathi, Chittagong, Comilla etc.
Cultivation method:
Light sandy soil and loamy soil are best for guava production. It is a drought tolerant plant and can grow in almost all types of soil in our country. However, sandy and loamy soils are best for commercial production. Guava varieties like Kazi Guava, Swarupkathi, Kanchannagar, Mukundapuri, Bari Guava-2 etc. are generally cultivated in our country. It is best to plant guava seedlings in the months of June to September. At the time of planting, the distance per seedling will be 5×5 meters. And 60x60x60 cm hole should be made. At this time, the soil of the upper part should be mixed with the soil of the lower part and sufficient amount of rotted dung manure, TSP, MOP should be filled and the hole should be left for 15 days. Guava saplings are propagated from seeds by cuttings. After planting the prepared seedling should be tied to a strong pole so that it does not sway in the wind. A bamboo cage or fence is best to protect them from other animals. Applying fertilizer in three equal installments in February, May and September every year gives good yield. In this case, it is better to mix the spreading stems of the fertilizer plant with the soil as far as it covers a wide area. After that irrigation should be done. Water should be irrigated at intervals of 10 days to get good yield. It is best to prune 25 to 50 percent of the fruit when the fruit is young, including relatively weak fruit, to obtain quality fruit. To get more yield, it is better to prune the tree after harvesting the mature fruits. This increases the fruit bearing capacity of the tree by growing new stems. Fungal infections are more common in guava trees. To avoid this, the leaves and fruits should be collected and burnt. Moreover, fungicides must be applied. Trees and the land around the trees should be kept clean to protect the trees and fruits from various diseases.
Income:
Guava is a very nutritious and delicious fruit. It is in great demand in our country. Cultivation of twelve month available varieties is also increasing. The yield of guava is also different depending on the variety. Some produce twice a year and some once. So it is possible to profit by cultivating guava commercially.
Best wishes.