বেগুন চাষ / Eggplant cultivation

ভূমিকাঃ

বেগুন খুবই উপকারী সব্জি। এতে বিদ্যমান খাদ্য উপাদানগুলো মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জন্য ভীষণ উপযোগী। বেগুন আমাদের পরিপাকতন্ত্রের পরিপাক ক্রিয়া সুস্থ ও সবল করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়তা করে, এনেমিয়া, কোলেস্ট্রলের ঝুঁকি মোকাবিলা করে, চুল এবং ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করে ইত্যাদি। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগুন সব্জি বা সালাদের সাথে খাওয়া হয়। এটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমন সুস্বাদু। আমাদের দেশে সারা বছর প্রচুর বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। তাই বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করে চাষিরা লাভবান হয়ে উঠতে পারেন।

চাষ পদ্ধতিঃ

বাজারে অনেক জাতের বেগুন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু শীতকালে চাষের উপযুক্ত আবার কিছু গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা মৌসুমে ভালো হয়। ইসলামপুরী, কাঁটাবেগুন, কাজলা, নয়নতারা, তারাপুরী ইত্যাদি জাতগুলো এ সময়ে চাষের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হতে পারে। তবে এসব জাতের মধ্যে কাজলা সবচেয়ে বেশি ভালো। এ বেগুনের আকর্ষণীয় কালচে রঙ ও আকার খুব সহজেই ভোক্তাকে আকৃষ্ট করে। গাছে প্রচুর ফলন হয়। এমনকি মার্চ- এপ্রিল মাস পর্যন্ত এর ফলন পাওয়া যায়। অর্থাৎ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও তার ধকল সইতে পারে। উচ্চফলনশীল এ জাতের গাছপ্রতি ফলের সংখ্যা ৩৫ থেকে৪০ টি, প্রতিটি ফলের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম, হেক্টরপ্রতি ফলন ৫৫ থেকে ৬০ টন এর মতো। তাই অনায়াসেই শীতকালে চাষের জন্য এ জাতের বেগুন বেছে নেয়া যেতে পারে। অন্যান্য জাতের বেগুন গুলোও বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ভালো ফলন দেয়। জমিতে বেড তৈরি করে বেগুন চাষ করলে ভালো। এর আকার ৬০ সেন্টিমিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী লম্বা। ভালো জাতের ফল পাওয়ার ২ ধাপে বীজ বপন করতে হবে। প্রথমে জমিতে ঘন করে বিজ ফেলতে হবে। ১১ থেকে ১২ দিন পর বীজ গজানো শুরু করলে সেখান থেকে তুলে অন্য স্থানে আবার বপন করতে হবে। বীজ বপনের সময় থেকেই খেয়াল রেখে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। যাতে গাছ যথাযথ পুষ্টি পায়। এবং পোকামাকড় ও রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বেডের দুই পাশের নালা দিয়ে জমিতে সেচ দেয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে জাতে সেচের পানি বেশিক্ষণ ধরে জমে না থাকে। গাছের গোড়া পর্যন্ত মাটি ভিজে গেলে নালার পানি ছেড়ে দিতে হবে। পরিপূর্ণ বেগুন তুলে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করতে হবে।  

আয়ঃ

বেগুন সম্ভাবনাময়ি একটি ফসল। সঠিক উপায় অবলম্বন করে এর চাষ করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। 

শুভ কামনা রইল।

English version.

Eggplant cultivation

Introduction:

Eggplant is a very useful vegetable. The food ingredients present in it are very useful for every organ of the human body. Eggplant helps to heal and strengthen the digestive function of our digestive system, helps in weight loss, helps prevent cancer, heart disease, high blood pressure, fights the risk of anemia, cholesterol, removes various hair and skin problems, etc. Not only in Bangladesh but also in different countries of the world eggplant is eaten with vegetables or salad. It is as healthy as it is delicious. A lot of eggplant is cultivated in our country throughout the year. So farmers can become profitable by cultivating it commercially.

Cultivation method:

Many varieties of eggplants are available in the market. Some of them are suitable for cultivation in winter and some are better in summer or monsoon season. Islampuri, kata brinjal, Kajla, Nayantara, Tarapuri etc. varieties can be considered suitable for cultivation at this time. But among these varieties, kajla is the best. The attractive black color and shape of this eggplant attracts the consumer very easily. The tree bears a lot of fruit. Its yield is even available till March-April. That is, even if the temperature rises, it can withstand shock. The number of fruits per tree of this high-yielding variety is 35 to 40, the weight of each fruit is 60 to 65 grams, the yield per hectare is like 55 to 60 tons. So this type of eggplant can be easily selected for winter cultivation. Other varieties of brinjal also produce well in different regions. It is better to cultivate eggplant by making beds in the land. Its size is 60 cm wide and long according to the length of the land. Seeds should be sown in 2 stages to get good quality fruits. First, the seeds should be sown thickly on the ground. After 11 to 12 days, if the seeds start growing, they should be picked up from there and sown again in another place. Sufficient amount of fertilizer should be applied to the land with care from the time of sowing seeds. So that the plant gets proper nutrition. And adequate measures must be taken to protect against insects and pathogens. The land can be irrigated by drains on both sides of the bed. But care should be taken that the irrigation water does not accumulate in the plant for a long time. When the soil is wet up to the root of the plant, the water should be released from the drain. Full eggplant should be picked and marketed for sale.

Income:

Eggplant is a promising crop. It is possible to be profitable if it can be cultivated by adopting the right method.

Best wishes.