Bread fruit cultivation
Introduction:
When you hear the name of bread fruit, you will think that there is something like that! Or the delirium of a madman. But there is one surprising result. This fruit is basically known as bread fruit all over the world. This fruit is considered as the main source of sugar. In other countries of the world, this fruit is eaten as an alternative to bread or rice. But as this fruit is unfamiliar in Bangladesh, it is wasted due to carelessness and negligence.
The story behind the arrival of this fruit in Bangladesh:
Air Commodore Retired Jeyarat Ali brought it from Sri Lanka as a seedling to Dhaka University in 2000. He first planted the tree in his official residence in Dhaka Cantonment, then when he left that residence in 2003, he decided to gift the bread fruit seedling to the Botany Department of Dhaka University. After that, the sapling was picked up from the cantonment yard and planted in the botanical garden of Dhaka University. The tree has been bearing fruit for 17 consecutive years since its two years.
Ways to recognize breadfruit:
This fruit looks a lot like a jackfruit as its skin is pointed like a jackfruit. Again, during collection, pulp like jackfruit comes out of it. But its leaves look like papaya leaves. This fruit has no seeds. New seedlings are produced from the roots of the tree. Also, this tree can be propagated by grafting method. Till now two saplings have been found from this tree planted in Dhaka University.
Time limit for getting results:
Usually the fruits can be collected from this tree from the beginning of August to the middle of September. A large tree can produce 500 or more fruits per season. Each fruit can weigh from 500 grams to 6 kg. The taste of this fruit is very similar to sweet potato. This fruit can be eaten in various ways. It can be eaten raw by removing the top layer and burning it or by sniffing it into powder and making bread or directly cooking it.
Benefits:
This fruit contains all the ingredients of a balanced diet. Apart from being rich in sugar, this fruit also contains other ingredients including protein and vitamins. Therefore, this fruit is eaten in many parts of the world as an alternative sugary food to rice, bread, potatoes or corn. This plant also has important medicinal properties. A paste can be made from the leaves of this plant and used to cure high blood pressure and breathing problems. Its pulp is especially useful for skin diseases. In many areas breadfruit is made into chips, sweet pickles etc. Not only this, the hard gum of this fruit is widely used as a trap for catching birds. Many inhabitants of Asia and the Pacific region take this fruit as a staple food. Day by day this fruit spread in South America, Africa, India, Sri Lanka, Indonesia, Maldives and at least 90 countries of the world.
Income:
Currently, cultivation of this fruit is being considered in Bangladesh as well. According to experts, if the yield of this fruit can be increased in our country, then it is possible to supply sugar from it in our country in the future. So it is possible to earn millions of rupees easily by cultivating this fruit.
Best wishes.
বাংলা অনুবাদ
রুটি ফল চাষ
ভূমিকাঃ
রুটি ফল নাম শুনলেই মনে হবে এমন কিছু আদেও আছে কিনা! নাকি পাগলের প্রলাপ বকছে। তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই এমন একটি ফল আসলেই রয়েছে। এই ফল মুলত গোটা বিশ্বে রুটি ফল বা bread fruit নামে পরিচিত। এই ফল শর্করার মূল উৎস হিসেবে বিবেচ্চ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলতে রুটি বা ভাতের বিকল্প হিসেবে এই ফল খাওয়া হয়ে থাকে। অথচ বাংলাদেশে এই ফল অপরিচিত হওয়ার ফলে অযত্নে ও অবহেলায় নষ্ট হয়।
বাংলাদেশে এই ফলের আগমনের পিছনের কাহিনীঃ
২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারা অবস্থায় শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে আসেন এয়ার কমোডর অবসরপ্রাপ্ত জেয়ারত আলী।প্রথমে তিনি গাছটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে তার সরকারি বাসভবনে রোপণ করেন পরে ২০০৩ সালে সেই বাসস্থান ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি রুটি ফলের চারাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগকে উপহার হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ক্যান্টনমেন্টের আঙ্গিনা থেকে চারাটি তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে রোপন করা হয়। এর দুই বছর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৭ বছর ধরে ফল দিয়ে যাচ্ছে গাছটি।
রুটি ফল চেনার উপায়ঃ
এই ফলটির গায়ের আবরণ কাঁঠালের মতো সূচালো হওয়ায় দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। আবার সংগ্রহের সময় এর থেকে কাঁঠালের মতো কষও বের হয়। তবে এর পাতা পেঁপে গাছের পাতার মতো দেখতে। এ ফলের কোন বিচি হয়না। গাছের মূল থেকেই নতুন চারা উৎপাদিত হয়। এছাড়াও গুঁটি কলম পদ্ধতিতে এই গাছের বংশ বিস্তার করা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগানো এই গাছটি থেকে এখন পর্যন্ত দুটি চারা পাওয়া গেছে।
ফল পাওয়ার সময় সীমাঃ
সাধারণত আগষ্টের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। একটি বড় আকৃতির গাছে প্রতি মৌসুমে ৫০০ বা তার বেশি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের ওজন ৫০০ গ্ৰাম থেকে ৬ কেজি ওজনের হতে পারে। এ ফলের স্বাদ অনেকটা মিষ্টি আলুর মতো। এই ফলটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। এর উপরের আবরণ উঠিয়ে কাঁচা পুড়িয়ে বা শুঁকিয়ে গুঁড়ো করে রুটি বানিয়ে বা সরাসরি রান্না করে খাওয়া যায়।
উপকারিতাঃ
এই ফলটিতে সুষম খাবারের সকল উপাদান রয়েছে । এ ফল শর্করায় সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি প্রোটিন ও ভিটামিন সহ অন্যান্য উপাদান ধারণ করে থাকে। তাই ভাত, রুটি, আলু বা ভূট্টার বিকল্প শর্করা জাতীয় খাবার হিসেবে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে এই ফল খাওয়া হয়। এই গাছের গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি উপাদান ও রয়েছে। এ গাছের পাতা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে কাজে লাগানো যায়।। এর কষ চর্মরোগের জন্য বিশেষ উপকারী। অনেক এলাকায় রুটি ফল দিয়ে চিপস, মিষ্টি আচার ইত্যাদি তৈরি করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় পাখি ধরার ফাঁদ হিসেবে এই ফলের শক্ত আঠা ব্যাপক ভাবে ব্যবহত হয়ে আসছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক বাসিন্দাই এই ফলকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে থাকেন। দিনে দিনে এই ফল ছড়িয়ে পড়ে মধ্যে ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা,ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ সহ বিশ্বের অন্তত ৯০ টি দেশে।
আয়ঃ
বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ফলের চাষের কথা ভাবা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যদি আমাদের দেশে এই ফলের ফলন বাড়ানো যায়, তবে ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও এর থেকে শর্করার যোগান দেওয়া সম্ভব। তাই এই ফলের চাষ করে খুব সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকা কামানো সম্ভব।
শুভ কামনা রইল।